প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুরের মোল্লাপাড়া গ্রামে ভাই-বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ, চিকিৎসকের ধারণা- খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে খাবারে বিষক্রিয়া হলো সে সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
আরো জানতে পড়ুনঃ
রোববার সকালে শিমুল (১২) নামের শিশুটি মাগুরা সদর হাসপাতালে এবং তরুণী আফরিন সুলতানা (১৮) বেলা পৌনে ৩ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
জানা গেছে, বিনোদপুরের মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আরজু মোল্লা ও শ্যামলী বেগম দম্পতির বড় মেয়ে আফরিন বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ছেলে শিমুল বিনোদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। গত ১৫ আগস্ট শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বাবা-মা, দুই ছেলে-মেয়ে ও দাদি মিলে মিষ্টি কুমড়া ও ডিমের ঝোল দিয়ে রাতে রান্নাঘরে বসে ভাত খান। দাদি আনোয়ারা বেগম অসুস্থ থাকায় তার খাবার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়। খাবার খেয়ে ছেলে বাবা-মায়ের কাছে আর মেয়ে দাদির কাছে ঘুমিয়ে পড়ে।
মা আনোয়ারা বেগম জানান, তার দুই সন্তান ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে বিনোদপুর প্রধান সড়কের পাশে আহম্মদ বিশ্বাস ওরফে মাধো নামের এক ক্ষুদ্র মুদি দোকানদারের কাছ থেকে ২৫০ মিলির পেট বোতলের একটি কোম্পানির কোমল পানীয় কিনে বাড়িতে নিয়ে আসে। পানীয় ছেলেকে পান করতে দেখলেও মেয়েকে পান করতে দেখেননি।
তিনি আরও জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে তার ছেলের পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। মুখ দিয়ে ফেনা জাতীয় তরল পদার্থ বের হতে থাকে। বিনোদপুরের গ্রাম্য ডাক্তার রবীন্দ্রনাথের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে আফরিনেরও একই উপর্সগ দেখা দেয়। ছেলের অবস্থার অবনতি হলে ১৬ আগস্ট ভোরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বাড়িতে আফরিনের অবস্থা অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সে মাগুরা থেকে ফরিদপুর নেওয়ার পর একই দিন বিকেলে তারও মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, তারা বাড়ি থেকে একটা কোমল পানীয়র খালি বোতল জব্দ করেছেন। তবে সে পানীয় মেয়াদোত্তীর্ণ নয়। চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, যেভাবেই হোক তাদের পাকস্থলীতে খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রার কীটনাশক গেছে।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার আবীর শুভ্র (সার্কেল) জানান, লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন